রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহীর দুর্গাপুরে ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতার অভিযোগে বিএনপির প্রায় দুই’শ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

এ সময় অবিস্ফোরিত চার থেকে পাঁচটি ককটেল এবং বিপুল পরিমাণ লাঠিসোটা, হামলায় ব্যবহৃত ইটের ভাংগারি, পানির বোতল উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, রবিবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে গোপন বৈঠক করছিলেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাতে ও অরাজকতা সৃষ্টি করে নাশকতা ঘটানোর জন্যই বিএনপির নেতা-কর্মীরা একত্রিত হয়ে গোপন বৈঠক করছিল বলে দাবি পুলিশের।

পুলিশ আরও জানায়, নাশকতার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এসময় তিন থেকে চারটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ। পরে সেখান থেকে অবিস্ফোরিত ককটেল, বিপুল পরিমাণ ইটের ভাংগারি, লাঠিসোটা ও পানির বোতল জব্দ করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ওই রাতেই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৮০ বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তবে আসামিদের গ্রেপ্তার ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এজাহার নামীয় আসামিদের নাম-পরিচয় জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক।

দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজের পিয়ন কাম নৈশপ্রহরী তহির উদ্দিন জানান, কলেজের একটি কক্ষে এশার নামাজ আদায় করছিলাম। এমন সময় কয়েকটি বিকট শব্দ হয়। নামাজ শেষ না করেই মাঠের পশ্চিম পাশে গিয়ে দেখি প্রচন্ড ধোঁয়া আর লোকজন দৌড়ে পশ্চিম দিকে পালাচ্ছে। পরে জানতে পারি ককটেল বিস্ফারণের ঘটনা ঘটেছে।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক বলেন, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটানোর জন্য দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে গোপন বৈঠক করেছিলেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এমন সংবাদ পেয়ে সঙ্গীয়ফোর্সসহ ডিগ্রি কলেজ মাঠে যাওয়া হলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে একটু দূরে অবস্থান নিলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে কয়েকজনকে সনাক্ত করা গেছে। এমনকি স্থানীয়রাও কয়েকজনকে চিনতে পেরেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

ওসি আরও বলেন, সেখানে একাধিক ককটেল বিস্ফারিত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৪/৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ লাঠিসোটা, ইটের ভাংগারি ও পানির বোতল জব্দ করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এজাহার নামীয় ১৫ জন ও অজ্ঞাত ১৮০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply